মানবজীবনে সবচেয়ে দূর্বিষহ ও বিরক্তিকর , যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা হলো মাথা ব্যথা। যা প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনকে করে তুলেছে অসহ্যকর৷ এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় ও রয়েছে। আর রোগ কোনো বয়স দেখে না ছোট থেকে বয়স্ক সমস্ত ব্যক্তিরাই মূলত এ সমস্যায় ভুগেন। যখন হঠাৎ করেই হুটহাট মাথা ঝিমঝিম করে বা মাথা প্রচন্ড ব্যথা করে তখন বিরক্তিকর নয়েজ শুনলেও আরো তা বেড়ে যায়। যার ফলে অনেক সময় মেজাজ ও অনেজ খিটখিটে হয়ে যায়।
এ সমস্যাকে সমাধান করার জন্য কতই না ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয় কিন্তু তা ও এর কোনো স্থায়ী সমাধান ও মিলে না।
একনাগাড়ে কয়েক ঘন্টা যাবৎ ব্যথা করতেই থাকে। যা কাজ ও মন মানসিকতার ওপর ও অনেক বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। তাহলে আসুন চটজলদি কিছু ঘরোয়া উপায় প্রয়োগের মাধ্যমে ও তা থেকে সাময়িক পরিত্রান পাওয়া যায়।
এটি একটি মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এর রয়েছে অনেক গুণাগুন। মাথা ব্যথা দূর করতে ও এটি অনেক উপকারী। কেননা আদাতে রয়েছে ‘প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সিনথেসিস’ যার ফলে এটিও ঔষধের মতো অনেক কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে।আদা নরমালি চিবিয়ে ও খাওয়া যেতে পারে বা আদা চা করে খেলে ও মাথা ব্যথা দূর করবে।
বাজারে বিভিন্ন সাইজের অনেক আইসব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়। একটি আইসব্যাগে বরফ ভরে নিয়ে তা মাথার ওপরে অর্থাৎ ঠিক মাথার তালুতে কিছুক্ষণ হালকা চেপে ধরে রাখুন। তাহলে মাথা গরম হয়ে থাকলে ঠান্ডা হবে, আবার আরাম ও অনুভব হবে। তবে যাদের ঠান্ডা পানি বা বরফের সংস্পর্শে আসলে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তারা এই পদ্ধতি পালন করবেন না। বরং তা স্কিপ করাই উত্তম।
মিষ্টি কুমড়োর বিচি রোস্টেড করে খেলেও মাথা ব্যথা দূর করবে ।কারণ মিষ্টি কুমড়োর বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, সালফেট যা মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
অনেক সময় আবহাওয়া, বায়ুদূষণের কারণেও মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আবার প্রায় বেশির ভাগ সময় মানসিক চাপের কারণেও মাথা ব্যথা শুরু হয়। এই সকল ধরনের ব্যথা কমানোর জন্য একমুঠো বা দুইমুঠো কাঠবাদাম চিবিয়ে খান। কাঠবাদামে রয়েছে ‘স্যালিসিন’ যা ম্যথা ব্যথা দূর করতে কাজ করে থাকে এবং দ্রুত ব্যথা লাঘব ঘটায়।
মন ভালো করার পাশাপাশি মাথা ব্যথা উপশমে সবেচয়ে ভালো কাজ হলো গান শোনা। ‘জার্নাল অফ পেইন’ গবেষণাপত্রে প্রকাশ হয় গান শোনা প্রায় ১৭% ব্যথা কমানোর জন্য অনেক কার্যকরী। কারণ গান মনোযোগ দিয়ে শোনার সময় আমাদের পূর্ণ মনোযোগ ঐ গানের সুর বা তালের সাথেই সম্মোহনী হয়ে যায়। যার ফলে মাথা ব্যথা টা তখন এতোটাও অনুভব করা যায়।
তাই যদি মাথা ব্যথা হয় তাৎক্ষণিক এ পদ্ধতি বা উপায়গুলো অনুসরণ করলে ও এ ব্যথা স্বস্তি পাওয়া যাবে। ঘরোয়া উপায়ে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই অনেক কার্যকরী।