স্বাভাবিক ভাবে জ্বর অনেক ধরনের হয়ে থাকে, কারো কম বা কারো বেশি। আবার এটি কোনো সংক্রামক বা ছোঁয়াছে রোগ ও নয়। এর সিম্পটম ও বেশি জটিল কোনো ব্যাপার নয়। আবার ভিন্ন ধরনের রোগ থেকেও জ্বর হতে পারে। যেমন কোনো ধরনের ব্যথা থেকেও জ্বরটা আসে।
জ্বর হলে তা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকেও দ্বিগুন হারে বেড়ে যায়। আমরা জানি বৈজ্ঞানিক ভাবে, মানবদেহে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা অনেক স্বাভাবিক আবার এ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকেই মূলত আমরা জ্বর বলি। আর মানব দেহে তাপমাত্রা বেড়ে য়াওয়ার অর্থই বুঝায় শরীরে পাইরোজেন (Pyroxene) উৎপন্ন হয়েছে।
জ্বর হলে গ্রাম্য লোকেরা মনে করেন, ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না, এমনকি শরীরে পুরু কোনো কাঁথা বা কম্বল দিয়ে শুয়ে থাকলেই শরীর ঘেমে জ্বর এমনেই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু তা সঠিক কোনো পন্থা নয়।বরং জ্বরের যদি সঠিক চিকিৎসা নাহয়, সেটাও মেয়াদি জ্বরে পরিণত হয়ে যেতে পারে তারা এটাই মতভেদ পোষণ করেন।
দেখা যায় যে এসব ভ্রান্ত ধারণা এবং কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু তা মোটেও জ্বর কমায় না। জ্বর কোনো বড় ধরনের রোগ নয়। এর প্রতিকার ও রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির কল্যাণে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নতি লাভ করেছে।
জ্বর মাপার যন্ত্র ও রয়েছে ২ টি। যা থার্মোমিটার নামে বেশ পরিচিত। পারদ দ্বারা গঠিত এ কাচঁনলটিই থার্মোমিটার। থার্মোমিটার দ্বারাই অতি সহজে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায়। এমনকি জ্বর কত ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে সে সম্পর্কে ও সম্যক ধারনা পাওয়া যায়।
আবার জ্বর যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে নাপা একস্ট্রা সেবন করার কয়েক ঘন্টা পরই জ্বর ছেড়ে দিবে। যদি শরীরে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
আর জ্বর যদি কম হয়ে থাকে তাহলে একবারে নরমালি ঔষধ খাওয়া উচিত। যেমন – নাপা, প্যারাসিটামল, ইত্যাদি। জ্বর ও ব্যথা থাকলে উভয়ই ঔষধ অনেক কার্যকরী।
আর অতিরিক্ত শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে যদি নরমাল ঔষধ সেবন করেও না কমে তাহলে অবশ্যই তাকে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হবে। এটি কোনো রোগ নয়, বরং অন্যান্য রোগের উপসর্গ ।
আরও পড়ুন