বর্তমানে এখন সবাই ভবিষৎ প্রজন্মের কথা ভেবে আয়ের কিছু অংশ সেভিংসে রাখেন । এজন্য তারা ইন্সুরেন্স করার জন্য অনেক বেশিই ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।
ইন্সরেন্স কথাটির বাংলা অর্থই হচ্ছে বীমা । আবার বীমাই হচ্ছে চুক্তি । বীমা হলো একটি চুক্তিপত্র যা আপাদের বিপদের সময় বা যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তারা আপনার পাশে থাকবে । এমনকি আপনাকে এ প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে । মনে করেন আপনি একটি ৩ লাখ টাকার বীমা করলেন ৩ বছরের জন্য । তাহলে কোনো ব্যক্তি যখনই এ তিন বছরের জন্য এ বীমাটি করার চুক্তিপত্র করেন এবং তা শুধুমাত্র নিদিষ্ট সময়ের জন্য একটি নিদিষ্ট পরিমান টাকা প্রিমিয়াম করে থাকে আর এটাকেই কিস্তি বলে।
স্পষ্টভাবে বলতে গেলে , ধরুন আপনি একটি বীজ বীমা করে তা জমা করলেন এবং তা থেকে প্রতি মাসে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী ফি জমা করলেন এই বীজের জন্য । আবার মনে করেন এক বছর বীমাকালীন সময়ের মধ্যে কোনো দূ্র্ঘটনা বা প্রাকৃতিক দূর্যোগ এসব কারণে সে বীজের কোনো ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে বীমা কোম্পানি থেকেই আপনাকে ক্ষতিপূরন দিয়ে দিবে ।
উক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে, নিশ্চয়ই আপনারা সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়ে গেছেন।
সাধারণত আমরা এটা্ও জানি যে , এই ইন্সুরেন্স বা বীমা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। সেসব তালিকা থেকে অবশ্যই আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো বীমা করতে পারবেন । আর এ ৮টি ইন্সরেন্সেই মানুষ অনেক বেশি বীমা করে থাকে । অধিকাংশ মানুষ এ ইন্সুরেন্সগুলোতে অনেক বেশি হারেই করে থাকে।
মূলত আমরা এটা ও জানি যে সকল ইন্সুরেন্স বা বীমা গুলো আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত না সেই সব বীমা বা ইন্সুরেন্সকে সাধারণ ইন্সুরেন্স বলে । এ বীমা মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
জীবন বীমার ছাড়াও যত বীমা আছে সবগুলোকে সাধারণ বীমা বলে ।
লাইফ ইন্সুরেন্স করার বিশেষ সুবিধা হলো ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে অনেক সহায়তা পেয়ে থাকেন তাই লাইফ ইন্সুরেন্স । এ বীমা করলে যে ধরনের বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায় তা অন্য বীমার থেকে উত্তম । এর ফলে হঠাৎ যদি কোনো দূর্ঘটনার কবলে পড়ে আপনার ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে আপনি নিসন্দেহে এ ইন্সরেন্স কোম্পানির নিকট থেকেই সহযোগিতা পাবেন । যাতে আপনি ক্ষতি গ্রস্ত পরিস্থিতিতে ও তাদের থেকে সাহায্য – সহযোগিতা পেয়ে থাকবেন । যা আপনার জন্য অনেক বিশাল সাপোর্টিভ ও হবে , আবার অনেক উপকার ও হবে ।
প্রায় সবারই একটা প্রশ্ন থেকে যায় মূলত জীবন বীমা বা ইনসুরেন্স কোম্পানীর কাজ কি ? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ,বীমা হলো এক ধরণের আর্থিক সুযোগ – সুবিধা পাওয়ার জন্য বীমা গ্রহীতা ও বীমা কোম্পানীর মাঝে একটি চুক্তি । যা দ্বারা বীমা গ্রহীতা এককালীন বা কিস্তিতে বীমা কোম্পানীকে কিছু নিদির্ষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে থাকেন । এই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাকেই বলে বীমা প্রিমিয়াম।
সাধারণত যারা জন্মগতভাবে মুসলমান বিশেষ করে তাদের জন্য এটি খুবই চিন্তনীয় বিষয় । কেননা ইসলামে সুদ খাওয়া হারাম । তাই ইসলামিক চিন্তা ধারা ও এর দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে হবে এটা কি হালাল না কি হারাম। যেকোনো ধরনের বীমাই ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম বলে গণ্য হবে । ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে তা সম্পূর্ণ না জাযেজ বা অবৈধ লেনদেন । সমস্ত মুফতি আলেম –ওলামাদের বক্তব্যে তা বলা হয়েছে । একজন প্রকৃত পরিপূর্ণ মুসলমান হিসেবে তা এড়িয়ে চলাই সর্বোত্তম।