বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

 আগামী ১৭ মার্চ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৩ Time View
 আগামী ১৭ মার্চ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন

জা

  রোজ শুক্রবার  (১৭ মার্চ)  ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয়  সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন।  তিনি স্বাধীনতার   শ্রেষ্ঠ  নায়ক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।

 বাংলার খোকা  বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবর রহমান  ১৯২০ সালের  ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়  জন্মগ্রহণ  করেন। বাংলাদেশের অঞ্চলে  জন্ম নিয়েছিলেন তিনি,তিনিই সেরা।

 ১৯৭১ সালের মধ্য দিয়ে  স্বাধীনতার গৌরবময়  অর্জন ছিল মূলত এ দেশকে মুক্ত করার সংগ্রাম। বাংলার সাধারণ মানুষকে   মুক্তির দাবিতে এ সংগ্রামে তিনি লিপ্ত হয়েছিলেন। এদেশকে শত্রুদের  হাত থেকে  মুক্ত করার জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছেন। তিনিই বাংলাদেশের  স্থপতি  যার হাত ধরেই বাঙালি  জাতি আজ স্বাধীন চেতনায় উজ্জীবিত  হতে পেরেছে।

  ১৯৪৭ সালের ভারত পাকিস্তান  বিভক্ত থেকে  শুরু করে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ,   ৬৬ এর ৬ দফা দাবি,৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান  সকল সংগ্রামেই তিনি নেতৃত্ব  দিয়েছেন। বিট্রিশ  বিরোধী  আন্দোলনের  সময়কাল থেকেই  তিনি অত্যাচার নিযার্তন এর শিকার হতে দেখেছেন।

৭ মার্চ তিনি একটি ঐতিহাসিক  ভাষণ দেন,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, জয় বাংলা। 

তিনি বাঙালি   জাতিকে  উদ্বুদ্ধ  করার জন্য  তাদের  প্রস্তুত হতে বলেন। এমনি তিনি আরো বলেন,প্রতিটি ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার কথা। 

 বাংলার মহানায়কের পরিচয় ও শিক্ষা জীবন

তিনি ছিলেন  ছয় ভাই-বোনের মধ্যে  তৃতীয়  সন্তান।  বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম  লুৎফর রহমান এবং মায়ের নাম সায়রা খাতুন। মাত্র ৭ বছর  বয়সে তিনি গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই তাঁর   জীবনে প্রথম পড়াশোনার যাত্রা  শুরু হয়।  পরবর্তীকালে  তিনি মাদারীপুর  ইসলামিয়া  হাইস্কুলে,  গোপালগঞ্জ  সরকারি পাইলট স্কুলে    এবং গোপালগঞ্জের মিশনারি স্কুলে পড়ালেখা করেন। তিনি ১৯৪২ সালে  ম্যাট্রিক পাশ করে  উচ্চ শিক্ষা  গ্রহন  করার জন্য কলকাতায় অবস্থিত  ইসলামিয়া  কলেজে  ভর্তি  হন। এ কলেজের বেকার  আবাসিক হোটেলেই তখন তিনি পড়াশোনা করার জন্য অবস্থান করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি বিএ পাশ করেন, এমনকি  ইসলামিয়া  কলেজেই  তিনি সাধারণ সম্পাদক  হিসেবে নির্বাচিত  হয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত – পাকিস্তান  বিভক্ত হলে তিনি পূর্ব বাংলায় ফিরে আসেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে  অধ্যয়ন করেন।

 পশ্চিম  পাকিস্তানিদের নির্মম  অত্যাচার থেকে বাঙালি  জাতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তিনি নেতৃত্ব  দেন।

স্বাধীনতা  লাভের পর   ষড়যন্ত্র  করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট  বঙ্গবন্ধু  ও  সপরিবারকে হত্যা করা যায়। এটি প্রতিবছর ১৫ আগস্ট শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

  ইতিহাসের পাতায় তিনি চিরকাল  অমর হয়ে থাকবেন।তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁর  এ অসীম সাহসিকতার  পরিচয় ও মহান কৃতিত্বের   বিষয়  অনেক জাগরণী সৃষ্টি  করতে ও সহায়ক হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

USEFUL LINKS।

© All rights reserved © 2023 dotnewsbd.com
Theme Customized By BreakingNews